বিকৃত যৌনতায় হোমিওপ্যাথি
যৌন কামনা যদি সঠিক পথে নিজের রূপ পরিগ্রহ করতে না পারে তবে নানারকম যৌন বিকৃতি এসে হাজির হয়। তাই মনোবিকারে যৌনকারণ পর্যবেক্ষণ করে দেখা দরকার। সমাজের বিকৃত যৌনতা বিস্তার লাভ করেছে বিকৃত রুচির কিছু মানুষ। এরা যৌনতার বাজে কামনা, মাধ্যম হিসাবে এমন কিছু কাজ করে যার প্রেক্ষিতে যৌন দুর্বলতা ; পুরুষত্বহীনতা, মুখে ঘা, সিফিলিস, গনরিয়া জনিত চর্মরোগ মহিলাদের তলপেটের জটিল সমস্যাসহ বন্ধ্যাত্ব; পুরুষের শুক্র তারল্য ও সন্তানের বাবা হইতে বঞ্চিত হইতেছে অনেক বিবাহিত দম্পত্তি। এই বিষয়ে বলতে গেলে লক্ষণ হিসেবে কতগুলো মনোরোগের কথা স্মরণ করতে হয়, এর মধ্যে ভয়, আনন্দ, গৃহবিরহতা, প্রেমে উন্মুক্ততা, বুদ্ধিভ্রংশতা, রোগ সম্পর্কে চিন্তা, লোভ, ক্রোধ, অন্যমনস্কতা, লজ্জাহীনতা, ক্ষিপ্ততা, মর্মাহত ও সন্দেহ আচ্ছন্নতা এই ধরনের অনেকগুলো মনোরোগের লক্ষণ পাওয়া যায়। এই লক্ষণগুলো চরিতার্থ করতে তখন অদ্ভুত যৌন বিকৃতির আর্বিভাব ঘটে। তার মধ্যে থেকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য।
১। স্পর্শ দ্বারা যৌন সুখ।
২। ঘ্রাণের সাহায্যে যৌন সুখ লাভ।
৩। দর্শনে গন্ধে যৌন সুখ।
৪। চিত্র বা মূর্তি দধর্শনে যৌন সুখ লাভ।
৫। দৈহিক অবয়বগুলো সাথে নানা প্রকার অস্বাভাবিক যৌন আকঙ্খা ও যৌন তৃপ্তির সম্বন্ধ। হাত, পা, স্তন, চুল, স্রাব গন্ধ ইত্যাদি।
৬। শিশুদের প্রতি যৌনক্ষুধা।
৭। সমকামিতা।
৮। পশ স্পর্শে যৌন শক্তি ও যৌন আর্কষণ।
৯। আলিংগণ চুম্বনে যৌনতৃপ্তি,
১০। দর্শনে যৌন ইচ্ছা।
১১। পরপীড়নে যৌনতৃপ্তি।
১২। অশ্লীল বাক্য বলে যৌন তৃপ্তি।
১৩। ওরাল সেক্স এর মাধ্যমে যৌন তৃপ্তি।
উল্লেখিত বিকৃত যৌন তৃপ্তি মানুষকে ও মানুষের মনকে এমন এক পর্যায় নিয়ে যায় তখন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ডাক্তারের শরাণাপন্ন হলে কিছু করার থাকে না। গবেষণায় দেখা গিয়াছে, স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনের যেই সব কামনা উদয় হয় সেগুলি চরিতার্থ না পেলে তখন বিপরিত ধারায় যৌন বিকৃতি ও উন্মাদনায় পরিণত হয়।
চিকিৎসাঃ এই বিষয়ে চিকিৎসকের ভূমিকা অপরিসিম। কারণ চিকিৎসক রোগীর মনো লক্ষণের উপর গুরুত্ব দিতে হয় বেশি। হোমিও পদ্ধতিতে অর্জিত যৌন রোগ যাবতীয় জটিল রোগ চিকিৎসা করতে রোগীকে বেছে নিতে হবে একজন অভিজ্ঞ হোমিও প্যাথি ডাক্তার উপযুক্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আপনার বাজে অভ্যাসের মাধ্যেমে অর্জিত যৌন রোগ থেকে মুক্তিপেতে পারেন।
ডাঃ ইব্রাহিম মজুমদার